শীতকালীন সবজি
শীতকালে সুস্থ থাকতে যে খাবার গুলো অবশ্যই খাবেন

সারাদেশে শীত এখন জেগে বসেছে। এই শীতে অনেকেই সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হন। এর বাইরে শীতের বৈরী আবহাওয়া ত্বকের জন্য বয়ে আনে নানা ধরনের সমস্যা। পাশাপাশি অনেক সময় ত্বকে হতে পারে বিভিন্ন ধরনের রোগ। কিছু চর্ম রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এই সময়। শীতেকালে কিছু খাবার আপনাকে সজীবতা ও সুস্থতা দেবে।

শীতকালে শরীরের যত্নের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করে শীত উপভোগ করার জন্য নিয়মিত কিছু খাবার খাওয়া দরকার। তাই আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা জানবো শীতকালে কোন খাবার গুলো খাওয়া উচিত? যা আপনাকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। এসব কিছু জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

শীতে সুস্থ থাকতে যে ১০টি খাবার অবশ্যই খাবেন

শীতকালে শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখাটাই একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ সময় বিভিন্ন কারণে ঠান্ডা লাগা, কাশি, গলা ব্যথা ও স্কিনের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। এইসব সমস্যা যাতে আপনাকে কাবু করতে না পারে তার জন্য নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। শীতের জন্য বিশেষ ধরনের খাবার আছে। যা দেহের শক্তি বৃদ্ধি করতে ও বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

সিদ্ধ ডিম

শীতকালে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে ও সতেজ রাখতে সিদ্ধ ডিমের ভূমিকা অনবদ্য। ডিম পুরো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি খাবার। ডিমে রয়েছে অনেক কার্যকরী উপাদান যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নয়টি অ্যামাইনো অ্যাসিড।

বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন যেমন- ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, জিঙ্ক, ফসফরাস এবং প্রয়োজনীয় মিনারেলস পাওয়া যায়। এখানেই শেষ নয়, ডিমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও আয়রন। বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে ডিম যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা রাখে। শীতের খাবার হিসেবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডিম রাখতে পারেন। তবে উপযুক্ত উপকার পেতে প্রতিদিন সকালে সেদ্ধ ডিম খেতে হবে।

গাজর

শীতকালে খাবারের মধ্যে গাজর হচ্ছে অন্যতম। গাজরকে বলা হয় “সুপার ফুড”। গাজরে রয়েছে শর্করা, প্রোটিন, ফাইবার, থাইমিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি। এজন্যই এটি একটি পুষ্টিগুণ খাবারের মধ্যে অন্যতম। এছাড়া গাজোরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। এটি বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই শীতকালে নিয়মিত গাজর খাওয়া উচিত।

পালং শাক

শীতকালে বাজারে প্রচুর পরিমাণে পালং শাক পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও শীতে সুস্থ থাকতে পালং শাক খেতে পারেন। পুষ্টিতে ভরপুর পালং শাক এন্টি অক্সিডেন্ট ও ক্যান্সার প্রতিরোধে গুণের কারণে এটি ও সুপারফুড হিসেবে পরিচিত। এছাড়া পালংশাক পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন ও মিনারেল আছে এবং ক্যালরি কম থাকে, তাই ওজন কমাতে খাবারে বেশি করে পালং শাক রাখতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ওজন বেশি তারা নিয়মিত পালং শাক খেলে বাড়তি ওজন কমে যায়।

খাঁটি মধু

শীতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার হচ্ছে খাঁটি মধু। শীতের সময় দেহকে সুস্থ রাখতে মধুর ভূমিকা অনবদ্য। মধু অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। প্রায় সব ডাক্তারই শীতের সময় নিয়মিত মধু খাওয়ার পরামর্শ দেন। জ্বর ও ঠান্ডা প্রতিরোধে মধু সবচেয়ে নিরাপদ খাবার। মধুতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তাই ঘুমানোর আগে ও সকালে নাস্তার সময় নিয়মিত মধু খেতে পারেন।

গ্রিন টি

গ্রিন টি তে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। শীতের সময় দিনে দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। তবে গ্রিন টি কখনো খালি পেটে খেতে যাবেন না। সকালে বা বিকেলে হালকা কিছু খাবার খাওয়ার পরে আপনি গ্রিন টি পান করতে পারেন। তাহলে দেখবেন আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আপনি সুস্থ আছেন।

স্যুপ

শীতকালে শরীর সুস্থ রাখতে স্যুপ দারুণ উপকারী। শীতকালে স্যুপের আসল মজা। শীতের সকালে বা রাতে ধোঁয়া ওঠা একটি সুপের বাটি হলে কিন্তু মন্দ হয় না। এতে শরীর থেকে একটু হলেও কাটবে ঠান্ডার রেস। শরীর সুস্থ রাখতে শীতের সময় নানান সবজি, ডিম আর মুরগির মাংস দিয়ে সুপ বানিয়ে খেতে পারেন।

মাছ

শীতকালে বেশি করে মাছ খান। মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আমিষ। আমিষের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন দুই বেলা মাছ খেতে পারেন। খাবারের তালিকায় সপ্তাহে অন্তত দুই দিন সামুদ্রিক মাছ রাখুন। এছাড়া মাছের সঙ্গে সবজি রান্না করে খেতে পারেন। মাছের ঝলে বিভিন্ন সবজি দারুন মানায়।

সবুজ শাকসবজি

শীতের সময় অনেক ধরনের শাকসবজি পাওয়া যায় যেমন- লাল শাক, মুলা শাক, বাঁধাকপি,ফুলকপি, টমেটো ইত্যাদি। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি পাওয়া যায় শীতের সময়। এগুলো বেশি বেশি খাওয়া প্রয়োজন। কারণ এইসব শাকসবজির গুলোর মধ্যে রয়েছে অনেক পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম সহ আরো কার্যকারী উপাদান।

যা শরীর সুস্থ রাখতে, শক্তি বৃদ্ধি করতে, শরীরের গঠন বাড়াতে ও ত্বক সতেজ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। শীতের শাক সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার তাই শীতের পুরোটা সময় ধরে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খাবার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে।

বাদাম

বিভিন্ন রকমের বাদাম যেমন চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম ইত্যাদি খেতে পারেন। এসব বাদামে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ফাইবার প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। যা আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে এবং শীতের সময় আপনাকে চাঙ্গা রাখবে।

টক ফল

শরীরে ফাইবার বা আঁশের ঘাটতি মেটাতে ভিটামিন সি এর যোগান দিতে শীতের সময় বেশি করে টক জাতীয় ফল খেতে পারেন। কমলা, বরই, পেয়ারা হতে পারে ভিটামিন সি এর দারুন উৎস। পেয়ারা এসব থেকে বেশি ভিটামিন সি থাকে। যা অনেক বেশি প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এতে আরো থাকে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।

শীতকালে সুস্থ থাকতে গড়ে তুলুন এই অভ্যাস গুলি

  • ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গ্রহণ
  • রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করতে হবে
  • ঘুমানোর আগে গরম পানি পান করা
  • ত্বক ও চুলের যত্ন
  • নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
  • গোসল করা
  • ধূমপান ত্যাগ করা
  • গরম পোশাক পরিধান

শীতে কোন কোন রোগ গুলি বাড়ে?

গলা ব্যথা ও কাশিঃ শীতকালে কম বেশি প্রায় সবারই গলা ব্যথা ও কাশি হয়ে থাকে। মূলত ঠান্ডা লাগার কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। গলা খুসখুস করে, কিছুক্ষণ পরপর কাশি হতে থাকে এবং ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসার মতো নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়। গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
টনসিলঃ শীতের ঠান্ডা বাতাস আমাদের টনসিল গ্রন্থির জন্য খুবই ক্ষতিকর। ঠান্ডা বাতাসে টনসিল গ্রন্থিতে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের দ্বারা ইনফেকশন তৈরি হয়। যার ফলে গলা ফুলে যায়, গলা ব্যথা ও ঢোক গিলতে কষ্ট হয়। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঠান্ডা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন এবং গরম পানি খেতে হবে।
স্নায়ু রোগঃ শীতকালে আমাদের শরীরের রক্ত চলাচল কম হয়। যার ফলে হাত পা প্রায় সময় ঠান্ডা হয়ে থাকে। এতে আমাদের নার্ভ ঝুকিতে থাকে। এমনকি রক্তশূন্যতার রোগীরা ও বৃদ্ধরা নার্ভের জটিলতায় ভোগেন। অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগলে নার্ভের পাশাপাশি মাংসপেশি ও হাড়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এলার্জিঃ শীতের সময় শুষ্কতায় কারণে আমাদের ত্বক সবসময় সুস্থ হয়ে থাকে। এতে আমাদের শরীরে মাঝে মাঝে চুলকানি ও ব্যথা অনুভব হয়। এলার্জির কারণে তীব্র শ্বাসকষ্ট হতে পারে। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের আদ্রতা কমে গেলে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে ওঠে। তাই এই সময় অ্যালার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন ত্বকের বিশেষ যত্ন।
সুস্থ থাকার জন্য এই পরিবর্তন নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে একটু সচেতন হতে হবে। কিন্তু শীতে অসুস্থ হওয়া ঠেকাতে পারে সঠিক নিয়মে জীবন যাপন ও শীতের কিছু সবজি, যা খেলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাইরে থেকে যত্নের পাশাপাশি চাই ভেতর থেকে সুস্থতা।তাহলে বুঝতেই পারছেন শীতকালে কোন অভ্যাস গুলি ও খাবারগুলো আপনাকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করবে।
ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের তালিকা
ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের তালিকা- ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে কি করবেন?

আপনি কি জানেন ক্যালসিয়াম আমাদের দেহের জন্য কতটা প্রয়োজনীয়? দাঁত ও হাড়ের গঠনে ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সুস্থ থাকতে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের কোন বিকল্প নাই। শুধু স্বাস্থ্য রক্ষায় নয়, শরীরের বিভিন্ন রোগ সারাতে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের ভূমিকা ব্যাপক।

আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা জানবো ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারগুলির নাম যা আপনি খুব সহজেই আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারবেন এবং এবং কখন কিভাবে কতটুকু পরিমাণে এই ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার গুলো গ্রহণ করতে হবে এই সবকিছু জানতে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের তালিকা

ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করার জন্য অনেকে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেয়ে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে কিডনিতে পাথর হতে পারে ও আরো অনেক ধরনের রোগ হতে পারে। তাই ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার গুলি খাদ্য তালিকায় রাখলে আপনাকে এরকম সমস্যায় পড়তে হবে না। চলুন জেনে নেয়া যা খাবারগুলির নাম। যেমন-

বাদাম

নিয়মিত বাদাম খাওয়ার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কারণ বাদামের পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা প্রচুর। বাদামে থাকে ক্যালসিয়াম যা আমাদের দাঁত ও হাড়ের গঠনকে মজবুত করে। এছাড়াও বাদামে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বাদামে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন ই পাওয়া যায়। আপনি আপনার পছন্দমত চীনা বাদাম, কাঠ বাদাম, পেস্তা বাদাম বা আখরোট খেতে পারেন।

টক দই

ক্যালসিয়ামের একটি দারুন উৎস হলো টক দই। আপনি যদি নিয়মিত টক দই খান তাহলে দই এ থাকা ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি আপনার দাঁত ও হাড়কে মজবুত করবে। এছাড়াও এটি আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। তাই বাদামের উপকারিতা বিবেচনা করে সুস্থ থাকতে হলে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় টক দই অবশ্যই রাখা প্রয়োজন।

মসুর ডাল

ক্যালসিয়ামের একটি ভালো উৎস হলো মসুর ডাল। এই ডালে ক্যালসিয়াম ছাড়াও কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে যেমন- আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক ইত্যাদি। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মসুর ডাল রাখতে পারেন। কারণ মসুর ডালে যে ক্যালসিয়াম থাকে তা আমাদের দেহ গঠনের কাজে লাগে। এছাড়া এটি আমাদের দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে তাই ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার হিসেবে ডাল অনেকের জন্য একটি আদর্শ খাবার।

সবুজ শাকসবজি

সবুজ শাকসবজি মধ্যে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। শাক সবজির মধ্যে বিশেষ করে পাতাযুক্ত শাকসবজিতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। যেসব শাকসবজিতে প্রচুর ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যেমন- পালং শাক, সরষে শাক, ব্রকলি, বাঁধাকপি, কচু শাক, লাল শাক ইত্যাদি। এসব শাকসবজি  আমাদের রক্তস্বল্পতা ও অ্যানিমিয়া দূর করতে সাহায্য করে। তাই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি রাখা প্রয়োজন।

আরো পড়ুনঃ দ্রুত ওজন কমানোর উপায়।

দুধ

আমাদের দেহ গঠনে এর জন্য পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে দুধ অন্যতম। এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। দুধে আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। যেমন ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন পাওয়া যায়। দুধে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁত ও হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে।

এছাড়াও ভালো ঘুমের জন্য যেসব ভিটামিন প্রয়োজন তার বেশিরভাগই রয়েছে দুধে। তাই নিয়মিত দুধ খাদ্য তালিকায় রাখলে ঘুম ভালো হয় ও মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে। তবে অনেকের দুধ হজম করতে সমস্যা হয় তারা কিন্তু দুধের পরিবর্তে টক দই খেতে পারেন। এতে প্রচুর উপকারিতা পাবেন।

সামুদ্রিক মাছ

সামুদ্রিক মাছের উচ্চমানের প্রোটিন পাওয়া যায়। যা আপনার হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। বিশেষ করে তৈলাক্ত মাছের ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি পাওয়া যায়। তাই ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার হিসেবে আপনি সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। এছাড়াও ছোট মাঝেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে, তাই এই জাতীয় মাছ খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখার চেষ্টা করবেন।

শুকনো ফল

নিয়মিত শুকনো ফল খেলে আমাদের দেহের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হতে পারে। তাই খাদ্য তালিকায় শুকনো ফল অবশ্যই রাখার চেষ্টা করুন। যেসব শুকনো ফলে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে সেগুলো হলো- খেজুর, কিসমিস, বাদাম।  তবে অতিরিক্ত পরিমাণে বাদাম ও খেজুর খেলে আপনার দেহের ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। এজন্য পরিমাণমতো শুকনো ফল গ্রহণ করতে হবে।

তিল

ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করার জন্য আপনি তিল খেতে পারেন। যদিও কালো তিলে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে আপনি চাইলে সাদা তিলও খেতে পারেন। এক চা চামচ তিল খেলে প্রায় ৯০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। তিল অবশ্যই ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে। তিল খাওয়ার আগে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন ভারী কোন খাবারের সাথে তিল খাবেন না। বরং হালকা খাবারের সাথে তিল খেতে পারেন।

সজনে পাতা

সজনে পাতার পাউডার খেলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এতে দুধের চেয়ে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও জিংক পাওয়া যায়। তাই সজনে পাতাকে বলা হয় “সোর্স অফ এনার্জি”। ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের মধ্যে সজনে পাতা অন্যতম। এছাড়া নিয়মিত এই পাতা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ রসুনের ১০টি উপকারিতা।

শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিভাবে বুঝবেন

ক্যালসিয়ামের অভাবে যেমন হাড় ও দাঁতের ক্ষয় হয়, তেমনি স্নায়ু, হৃদ স্পন্দন ও মাংসপেশীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার হাড়ের ক্ষয় বেশি হলে অস্টিওপোরেসিসের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে। তাই ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ থেকে বাঁচতে যেসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে এমন খাবার আমাদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখা প্রয়োজন।

ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ

আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম কমে গেলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে অস্টিওপরেসিস, অস্টিওপেনিয়া এবং হাইপোক্যালসেমিয়ার মতো রোগ হতে পারে। এছাড়া আমাদের শরীরে যে সমস্যাগুলো দেখা দেয় সেগুলো হলো-

  • শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে
  • স্মৃতিশক্তি কমে যায়
  • দাঁতের ক্ষয় হয় ও দাঁত ভেঙে যায়
  • শুষ্ক ত্বক ও ভঙ্গুর নখ
  • হাত ও পায়ের গিঁটে গিঁটে ব্যথা করে
  • হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়
  • অনিয়মিত হৃদস্পন্দন হতে পারে
  • পেশি দুর্বল হয়ে যায়
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা
2024 মেডিকেল, বুয়েট ও সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন ফি, last date ও নিয়ম

BUP- (বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল)

বিইউপির আবেদন শুরু এবং শেষ হয়েছে ১৭ই ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। আবেদন ফি ছিল প্রতি ইউনিটে ১০৫০ টাকা। ইতিমধ্যে ১৯ ও ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু আগামী ২৪ শে ফেব্রুয়ারি। এবারও দুই ধাপে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ১০০ নম্বরের MCQ পদ্ধতিতে প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। MCQ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়ে বুয়েট ক্যাম্পাসে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিন থাকবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত নম্বর থেকে প্রশ্নের মান ২৫ শতাংশ নেওয়া হবে।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি। সাধারণত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের ১ থেকে দেড় মাসের মাথায় এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর থেকে দেশের সরকারি ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে বছরে ৪ হাজার ৩৫০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়ে আসছেন। এ বছর এমবিবিএস কোর্সে আরো ১৩৩ টি আসন বৃদ্ধি করেছে সরকার। এবার মোট আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫,৩৮০ টিতে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১৮ই ডিসেম্বর ২০২৩ হতে এবং শেষ হয়েছে ৫ জানুয়ারি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি ইউনিটে আবেদন ফি ১০৫০ টাকা। আবেদনের লিংকঃ admission.eis.du.ac.bd

পরীক্ষার তারিখঃ

  • খ ইউনিট ২৩ শে ফেব্রুয়ারি
  • গ ইউনিট ২৪ শে ফেব্রুয়ারি
  • ক ইউনিট ১লা মার্চ
  • চ ইউনিট ৯ মার্চ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাথমিক আবেদন ৮ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। চূড়ান্ত আবেদন এর কার্যক্রম ২৬ শে জানুয়ারি থেকে ১১ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক আবেদন ফি ৫৫ টাকা ছিল এবং চূড়ান্ত আবেদনে ১৩২০(A-C) ও ১১০০(B) টাকা পর্যন্ত প্রয়োজন হবে ইউনিট ভেদে।

পরীক্ষার তারিখঃ
  • C ইউনিট পাঁচ মার্চ
  • A ইউনিট ৬ মার্চ
  • B ইউনিট ৭ মার্চ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আবেদন শুরু হয়েছে ৪ই জানুয়ারি ২০২৪ থেকে এবং শেষ হয়েছে ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে। আবেদনকারীকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবেদন করতে হবে। প্রতি ইউনিটে আবেদন ফি এক হাজার টাকা এবং ১০০ মার্কের MCQ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষার তারিখঃ
  • A ইউনিট- ২ মার্চ ২০২৪
  • B1 ইউনিট- ৩ মার্চ ২০২৪
  • D1 ইউনিট- ৪ মার্চ ২০২৪
  • B ইউনিট- ৮ মার্চ ২০২৪
  • C ইউনিট- ৯ মার্চ ২০২৪
  • D ইউনিট- ১৬ মার্চ ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা ২২শে ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। আবেদন শুরু হয়েছে ১৪ তারিখ থেকে এবং শেষ হবে ৩১ তারিখ রাত ১১ঃ৫৯ টা পর্যন্ত। আবেদনকারী কে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সম্পর্কিত ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নিয়মাবলী অনুসরণ করে সংশ্লিষ্ট ইউনিটে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। A, B, C এবং D ইউনিটের প্রতিটির জন্য ৯০০ টাকা, E ইউনিটের জন্য ৭৫০ টাকা, এবং C1 ইউনিটের জন্য ৬০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

গুচ্ছ ভুক্ত ২৪ টি সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা রোজার ঈদের পর আয়োজন করা হতে পারে। মার্চে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থাকায় ঈদের পর পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির একটি সুত্র দা ডেইলি ক্যাম্পাস কে জানিয়েছে ঈদের আগে পরীক্ষা আয়োজনের সম্ভাবনা নেই, এপ্রিলের শেষ দিকে পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।

পৃথিবীর বৃহত্তম জাহাজ আইকন অফ দ্য সিস
Icon of the Seas: যাত্রা শুরু করেছে পৃথিবীর বৃহত্তম জাহাজ ‘আইকন অফ দ্যা সিস’

দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে যাত্রা শুরু করলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাহাজ আইকন অফ দ্য সিস। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মিয়ামি থেকে যাত্রা শুরু করেছে জাহাজটি। গন্তব্য হলো পূর্ব ও পশ্চিম ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ। যাত্রা শুরুর পর যাত্রীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির প্রস্তুতকারক কোম্পানি রয়েল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল সংস্থাটি।

বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ ও বিলাসবহুল এই জাহাজে যাত্রা নিয়ে উন্মাদনা শুরু হয়ে গেছে। টাইটানিকের মতো হাজার হাজার মানুষ এই বিখ্যাত জাহাজের প্রথম সফরে সাক্ষী হতে চেয়েছেন। চলন্ত অবস্থায় এই জাহাজ দেখলে মনে হবে সাগরের বুকে এক ভাসমান শহর।

কোথায় তৈরি হয় জাহাজটি?

২০২২ এর এপ্রিলে ফিনল্যান্ডের মিয়ার তুর্কু শিপইয়ার্ডে জাহাজটির তৈরি হয়েছিল। গত বছরের শেষের দিকে সম্প্রতি সেখানে এটির ট্রায়াল রান হয়। ট্রায়াল রানে কয়েকশ মাইল পথ ভ্রমণ করেছে এই জাহাজটি। পরীক্ষামূলক সফরের সময় জাহাজটিতে চার দিন ধরে ইঞ্জিন, প্রযুক্তি, কম্পন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন ৪৫০ জন বিশেষজ্ঞ।

আইকন অফ দ্যা সিসের বৈশিষ্ট্য

এতদিন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ ছিল “ওয়ান্ডার অফ দ্যা সিস”। জাহাজটি ছিল ১১৮৮ ফুট দীর্ঘ এবং ওজোন ছিল ২৩৫, ৬০০ টন। তার থেকে আয়তনে ৬ শতাংশ বড় আইকন অফ দা সিস। আইকন অফ দা সিসের দৈর্ঘ্য ৩৬৫ মিটার (১,১৯৭ ফুট) এবং ওজোন ২,৫০,৮০০ টন। দুই বিলিয়ন ডলার ব্যয় নির্মিত এই জাহাজটি টাইটানিকের চেয়েও ৫গুণ বড়।
২০ তলা এই জাহাজটি তে ২৮ ধরনের বিভিন্ন কেবিন থাকবে, ৮২ শতাংশ ঘরেই তিন বা তার বেশি সংখ্যক মানুষ থাকতে পারবেন, ৭০ শতাংশ ঘরে থাকছে বারান্দা। সাত রাতের প্রথম যাত্রায় বারান্দার সহ একটি রুমের জনপ্রতি ভাড়া প্রায় ৫ লাখ ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিচালনায় থাকবেন দুই হাজারের বেশি সুদক্ষ নাবিক।

কি কি সুবিধা রয়েছে এই জাহাজে

বিলাসিতার চোখ ধাঁধানো ঝলক রয়েছে এ জাহাজটিতে। সব ধরনের পরিবহনই এই জাহাজ যাত্রা উপভোগ করতে পারবে। আরাম করা বা রোমান্স উপভোগ সবটাই হবে সেখানে। এছাড়াও জাহাজে যুক্ত হয়েছে বিনোদনমূলক নানান ব্যবস্থা। যাত্রীদের বিনোদনের জন্য রয়েছে ৫০ জন সংগীত শিল্পী এবং কমেডিয়ান। এটি প্রথম তরলিক কৃত প্রাকৃতিক গ্যাস এবং ফুয়েল সেল প্রযুক্তি দ্বারা চালিত জাহাজ।

সবথেকে বড় আকর্ষণ ওয়াটার স্লাইড

আইকন অফ দ্যা সিসের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এর ওয়াটার পার্ক। যেখানে রয়েছে ছয়টি ওয়াটার স্লাইড। তার পাশাপাশি রয়েছে সাতটি সুইমিং পুল এবং নয়টি বিশেষ ধরনের পুল যার মধ্যে ঘূর্ণন আবর্তন চলবে। রয়েছে খেলার জায়গা, বাস্কেটবল কোর্ট, সার্ফ সিমুলেটর, জিপ লাইন, থিয়েটার সহ সব রকম বিনোদন ব্যবস্থা। সবমিলিয়ে জাহাজটিতে বিনোদনের ৪০ টির ও বেশি উপায় রয়েছে বলে দাবি করেছেন রয়েল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল সংস্থাটি।

সুবিশাল এই জাহাজে ভ্রমণের জন্য মাথাপিছু খরচ হবে ডলারে ১ হাজার ৭০৩ যা ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭০৭ টাকা। জাহাজটিতে পর্যটকদের প্রয়োজনীয় সবকিছুই রয়েছে। বিশ্বের এই বৃহত্তম জাহাজটিতে ব্যবহৃত হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। আয়তনে চারটি ফুটবল মাঠের সমান এই জাহাজ।
প্রিয়জনের জন্য কম দামের মধ্যে আকর্ষণীয় উপহার
প্রিয়জনের জন্য কম দামের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীও উপহার

উপহার পেতে কার না ভালো লাগে। আর কিছুদিন পরেই আসছে ভালোবাসা দিবস ১৪ই ফেব্রুয়ারি। এবার পালা প্রিয়জনকে তার মনের মতো একটি সুন্দর উপহার দিয়ে তাকে খুশি করা। ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসার মানুষটিকে কোন উপহার না দিলে যেন ভালোবাসার পূর্ণতা প্রকাশ পায় না।

আপনি কি আপনার প্রিয়জনকে কম দামের মধ্যে ভালো উপহার দেওয়ার কথা ভাবছেন? কিন্তু কম দামের মধ্যে কোন উপহারটি সবচেয়ে ভালো এবং আকর্ষণীও হবে তা ভেবে পাচ্ছেন না? তাহলে এই আর্টিকেলটি আজকে শুধুমাত্র আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে আপনি পাবেন আপনার প্রিয়জনকে দেওয়ার জন্য সেরা উপহার।

মেয়েদের জন্য উপহার

ফুলঃ ফুল কে ভালোবাসে না বা অপছন্দ করে এমন মানুষ পৃথিবীতে হয়তো নেই। ফুলের সৌন্দর্য সব সময় মানুষগুলি মহিত করে। ফুল এবং ভালোবাসা এই দুটি যেন একই সূত্রে গাথা। তাই আপনার যেকোনো ভালোবাসার মানুষকে ফুল উপহার দিতে পারেন। বর্তমানে ট্রেন্ডিং এ থাকা ড্রাই ফ্লাওয়ার বাকেট গুলো/শুকনো ফুলের তোড়াগুলো উপহার হিসেবে অন্যতম।

শাড়ীঃ শাড়ি প্রত্যেকটি মেয়ের কাছেই খুবই প্রিয় একটি উপহার। শাড়ি পড়তে ভালোবাসে না এমন কোন মেয়ে নাই। কম দামের মধ্যে ভালো উপহারের তালিকায় মেয়েদের জন্য শাড়ি একটি আদর্শ উপহার। ছোট থেকে একদম বয়স্ক নারী পর্যন্ত সবাই শাড়ি পরতে অনেক পছন্দ করে। ৫০০-১০০০ টাকার মধ্যে আপনি খুব সহজেই আপনার প্রিয় মানুষের জন্য একটি শাড়ি পেয়ে যাবেন।

চুড়িঃ মেয়েদের কাছে ভালবাসার আরেক নাম চুড়ি। প্রিয়জনের থেকে চুড়ি উপহার পেলে সব মেয়েরাই খুশি হয়। চুড়ির কোয়ালিটি অনুযায়ী ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের চুড়ি রয়েছে। আপনার প্রিয়জনের পছন্দের কালারের চুড়ি উপহার হিসেবে দিতে পারেন।

চকলেটঃ বাচ্চারা সবসময় চকলেট খেতে পছন্দ করে। তবে মেয়েদেরকে খুশি করতে তাদের পছন্দের উপহার গুলির মধ্যে চকলেট একটি। চকলেট পছন্দ করে না এমন মেয়ে পাওয়ায় যাবে না। কম দামের মধ্যে ভালো উপহার হিসেবে চকলেট দিতে পারেন। কোয়ালিটি ও সাইজ অনুযায়ী এক বক্স চকলেটের দাম ২০০থেকে ১০০০ টাকা।
টেডিঃ টেডি পছন্দ করে না এমন মেয়ে খুব কমই আছে। টেডি পছন্দ করে এমন কাউকে উপহার দিতে চাইলে তার পছন্দের কালারের একটি বড় বা মাঝারি সাইজের টেডি উপহার দিতে পারেন। তবে সাইজ অনুযায়ী টেডির দাম বিভিন্ন রকম হতে পারে। ৫০০ টাকার মধ্যে আপনি চাইলে উপহার দিতে পারেন।

ছেলেদের জন্য উপহার

পাঞ্জাবীঃ প্রত্যেকটি ছেলে পাঞ্জাবি পরতে পছন্দ করে। বিশেষ কোনো দিনে বা ভালবাসা দিবসে প্রতিটি ছেলে তুলনামূলকভাবে বেশি খুশি হয় এই উপহারটি পেলে। ৮০০-১০০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন দোকানে আপনি পেয়ে যাবেন একটি সুন্দর পাঞ্জাবি। এছাড়া যদি আপনার বাজেট বেশি হয়ে থাকে, তাহলে ৩০০০-৫০০০ টাকার মধ্যে ব্র্যান্ডের দোকান থেকে ভালো মানের পাঞ্জাবি দিতে পারেন।

ঘড়িঃ বর্তমান সময়ে কম বেশি সব ছেলেরাই ঘড়ি ব্যবহার করে। শুধু সময় দেখার ক্ষেত্রে নয়, অনেকে স্মার্টনেস এর জন্য ঘড়ি ব্যবহার করে থাকে। ২০০ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরির ঘড়ি হয়েছে। কম দামে ভালো উপহারের তালিকায় ঘড়ি একটি। যদি আপনার বাজেট কম হয়ে থাকে তাহলে আপনার প্রিয় মানুষকে চামড়াযুক্ত ফিতার ঘড়ি উপহার দিতে পারেন।

মানিব্যাগঃ আপনি যদি আপনার প্রিয় মানুষকে বিশেষ কোন উপহার দিতে চান তাহলে কম দামের মধ্যে ভালো উপহার হিসেবে মানিব্যাগ দিতে পারেন। কারন প্রত্যেকটি ছেলে মানিব্যাগ ব্যবহার করে। তবে সেটি যদি চামড়ার বা স্পেশাল করে তৈরি করে দেন তাহলে তো কোন কথায় নাই। বর্তমানে অনলাইনের বিভিন্ন পেইজে বা বিভিন্ন দোকানে ছবি খোদায় করে মানিব্যাগ তৈরি করে দেয়।

সানগ্লাসঃ বর্তমানে সানগ্লাস ব্যবহারের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ছেলেরা নিজেদেরকে আরও বেশি স্টাইলিশ রাখার জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করে। দাম অনুযায়ী বিভিন্ন ফ্রেমের সানগ্লাস পাওয়া যায়। তবে ভালো মানের মধ্যে আপনার প্রিয়জনকে সানগ্লাস উপহার দিতে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন।

টি-শার্টঃ ছেলেরা টি-শার্ট পরতে খুবই পছন্দ করে। আপনার বাবা, বড় ও ছোট ভাই কিংবা প্রিয়জনকে তাদের পছন্দের কালারের যদি টি-শার্ট উপহার দেন তাহলে অবশ্যই খুশি হবে। বিভিন্ন দোকানে ৩০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে ভালো মানের টি-শার্ট পাওয়া যায়। তবে অবশ্যই আপনার প্রিয়জনের টি-শার্টের সাইজ জেনে নিবেন।
পারফিউমঃ এই যুগে পারফিউম ব্যবহার করে না এমন মানুষ পাওয়া কষ্টসাধ্য। সাধারণত এর মূল্য হয়ে থাকে ২০০ থেকে কয়েক হাজার পর্যন্ত। আপনার প্রিয় মানুষটি কেমন ঘ্রাণ পছন্দ করে সেই অনুযায়ী আপনি একটি পারফিউম উপহার দিতে পারেন।
এছাড়াও আপনি আপনার প্রিয় মানুষকে আরো অনেক ধরনের উপহার দিয়ে খুশি করতে পারেন। যেমন- বই, কলম, ডায়েরি, ফটো ফ্রেম, হেডসেট, শো-পিস, মগ, ফুলদানী ইত্যাদি। আপনার প্রিয়জনের জন্য কেনা প্রতিটি জিনিসই হতে পারে উপহার। তবে যাই কেনেন না কেন তার সাথে যদি এক মুঠো ফুল নেওয়া হয় তাহলে আপনার প্রিয়জন কতটা খুশি হবে নিশ্চয়ই কল্পনা করতে পারছেন।

শেষ কথা

উপহার এমন একটি জিনিস যা লিখে শেষ করা যাবে না। উপহার দেওয়া হয় মূলত প্রিয় মানুষকে খুশি করার জন্য অথবা প্রিয় মুহূর্ত ভালো রাখার জন্য। আবার কেউ কেউ তার প্রিয় মানুষকে মনে রাখার জন্য উপহার দিয়ে থাকে।
প্রিয় পাঠক, “প্রিয়জনের জন্য কম দামের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় উপহার” এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত জনের সাথে শেয়ার করবেন এবং এরকম নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
পবিত্র শবে মেরাজ
শবে মেরাজ কি? শবে মেরাজের নামাজ ও রোজা সম্পর্কে বিস্তারিত
ইসলাম ধর্মে শবে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রাসুল (সাঃ) শবে মেরাজের রাতে মহান আল্লাহ তায়ালার সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন। তার উম্মতের জন্য নিয়ে এসেছিলেন বরকতময় ফরজ ইবাদত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। এ কারণে এই রাতটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র একটি রাত।

শবে মেরাজ কি?

শবে মেরাজ বা ‘লাইলাতুল মেরাজ’ ফারসি শব্দ। যার অর্থ রাত বা রজনী। শবে মিরাজ শব্দ দুটি সম্মিলিত শাব্দিক অর্থ হলো ঊর্ধ্বক্রমণের রাত বা রজনী। ইসলামী পরিভাষায় রাসুল (সাঃ) যে রাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইচ্ছায় তার ডাকে সাড়া দিয়ে ঊর্ধ্ব আকাশে গমন করেছিলেন, সেই রাত ও সেই পবিত্র যাত্রা কে শবে মেরাজ বা লাইলাতুল মেরাজ বলা হয়।

কখন হয়েছিল শবে মেরাজ?

মেরাজের এই ঐতিহাসিক ঘটনাটি কোন তারিখে সংঘটিত হয়েছে এ ব্যাপারে বিভিন্ন মতপার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। কোনো কোনো ঐতিহাসিকদের মতে রাসুল (সাঃ) নবুয়তের পঞ্চম বছর এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে। আবার কারো কারো মতে নবুয়তের ষষ্ঠ বছরে। তবে হাদিসের নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ও অধিকাংশ ঐতিহাসিকদের প্রসিদ্ধ মতামত হলো পবিত্র এই ঘটনা রাসুল (সাঃ) নবুয়তের পঞ্চম বছর রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে সংঘটিত হয়েছে।

শবে মেরাজ সংঘটিত হয়েছিল কেন?

মেরাজের ঘটনা রাসুল (সাঃ) জীবনের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য মন্ডিত বিষয়। রাসুল (সাঃ) এর আগে অন্য কোনো নবী রাসূলের জীবনে এমন ঘটনা ঘটেনি। মহান আল্লাহ তায়ালা এই রাতে তার সংস্পর্শ শুভ্রতার উপহার হিসেবে উম্মত মোহাম্মদকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান দান করেছেন। তাই রাসুল (সাঃ) নামাজের ব্যাপারে বলেছেন “নামাজ হলো মুমিনের মেরাজ।”

শবে মেরাজ ও নফল নামাজ

অনেক মুসলিম ভাই ও বোনেরা শবে মেরাজ উপলক্ষে কেউ ১২ রাকাত, কেউ ২০ রাকাত নামাজ আদায় করে থাকেন। ইসলামী শরীয়তে শবে মিরাজের নামাজ বলে কিছু নেই। নফল নামাজ পড়া সওয়াবের কাজ কিন্তু শবে মেরাজ উপলক্ষে নফল নামাজ আদায় করার কোনো ভিত্তি ও প্রমাণ হিসেবে কোথাও নেই।

কাজেই শবে মেরাজের নামে নফল নামাজ আদায় করা এবং এর ব্যবস্থা প্রবর্তন করা মানে ইসলামী শরীয়তে নিজের পক্ষ থেকে কিছু সংযোজন করা। আর এ ব্যাপারে রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যে আমাদের ধর্মে এমন কিছু সংযুক্ত বা উদ্বোধন করবে, যা তার শরীয়তের অংশ নয়- তা প্রত্যাখ্যান হবে। বোখারি, ১/৩৭১

শবে মেরাজ ও নফল রোজা

আমাদের অনেক মুসলিম ভাই ও বোনেরা শবে বরাত ও শবে কদরের সাথে মিলিয়ে শবে মেরাজের নফল রোজা রেখে থাকেন। একটি কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, নফল রোজা যখন ইচ্ছা তখন রাখা যায়। কিন্তু কোনো উপলক্ষে নফল রোজা রাখতে হলে অবশ্যই আগে জেনে নিতে হবে যে আমি বা আমরা যে উপলক্ষে নফল রোজা রাখছি শরীয়ত সেটাকে অনুমতি দিয়েছে কিনা।

কোরআন হাদিসের কোথাও বর্ণিত নেই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার অনুসারীরা এই দিনের বিশেষভাবে কোন রোজা রেখেছেন এমনে কোন বর্ণনা ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া যায় না তাই এই দিনে সবাই মিরাজ উপলক্ষে রোজা রাখা কোন ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে না।

শবে মেরাজ রাতের ফজিলত

শবে মেরাজের রাতে মহান আল্লাহ তাআলা রাসূল  (সাঃ) কে বিশেষ নিকট্য দান করেন। মুসলমানদের নামাজ উপহার দেন। তাহলে নিঃসন্দেহে এই রাতে ছিল ফজিলত পূর্ণ। এই রাতের ফজিলত নিয়ে কোন মুসলমানের সন্দেহ থাকতে পারে না। তবে এই ফজিলত প্রতিবছরের ২৭ রজবের নয়।

করনীয়-বর্জনীয়

রজব মাসের শেষের দিকে শবে মেরাজ রয়েছে। এই মাসে রমজানের প্রস্তুতি নেওয়া এবং বেশি বেশি এই দোয়া করা “হে আল্লাহ আমাদের রজব ও সাবান মাসে বরকত দাও এবং আমাদের হায়াত রমজান পর্যন্ত দীর্ঘায়িত করো।” শবে মেরাজে আমাদের যেসব করণীয়-
  • শবে মেরাজের নামাজ বলে কোনো নফল নামাজ আদায় না করা
  • শবে মেরাজের রোজা নামে কোনো নফল রোজা না রাখা
  • রজবের ২৯ ও ৩০ তারিখে সাবানের চাঁদ দেখার চেষ্টা করা
  • ইসলামী শরীয়ত পরিপন্থী যেকোনো ধরনের আমল ইবাদত ও বিদআত থেকে বিরত থাকা
  • প্রচলিত সব ধরনের প্রথা ও বিদআত বর্জন করা

শেষ কথা

কোনো কোনো এলাকায় খুব ধুমধাম এর সাথে শবে মেরাজ পালন করা হয়। শবে মেরাজ শবে বরাত ও শবে কদরের মতো বরকতময় মনে করা হয় এবং এই রাতে বিশেষভাবে মেরাজের নামাজ আদায় করা হয়। আর পরের দিন শবে মেরাজের রোজা রাখা হয়। ইসলামী শরীয়তে এসব আমলের কোন ভিত্তি নেই। কোরআন হাদিসে এর কোন সমর্থন পাওয়া যায় না। সুতরাং শবে মেরাজকে শবে বরাত বা শবে কদরের মতো মনে করা এবং উদযাপন করা সম্পূর্ণ বিদআত।

শিক্ষা নগরী রাজশাহীর বিভিন্ন তথ্য ও সৌন্দর্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

বাংলাদেশের সুন্দরতম শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহী একটি । বাংলাদেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মহানগরী রাজশাহী । উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় শহর রাজশাহী। পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত এই মহানগরীর সৌন্দর্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। রাজশাহী শহর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

শিক্ষা নগরী রাজশাহী

রাজশাহীকে এখন অনেকভাবে বিশেষায়িত করা যায় । তার মধ্যে রয়েছে- শিক্ষা নগরী, রেশম নগরী , আমের নগরী, সিল্কের নগরী, সবুজের নগরী। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও বায়ু দূষণ মুক্ত শহর রাজশাহী। চারিদিকে সবুজ গাছপালা থাকায় রাজশাহী কে বলা হয় গ্রীন সিটি। এ শহরের প্রাচীন নাম হলো মহাকাল গড় । এর পরে রুপান্তরিত হয়ে রামপুর-বোয়ালিয়া থেকে রাজশাহী নামটির উদ্ভব হয়। আজকে আমরা রাজশাহী সম্পর্কে জানবো।

রাজশাহী জেলার অবস্থান ও আয়তন

বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে অবস্থিত সবচেয়ে বড়ো শহর রাজশাহী। রাজশাহী জেলার পশ্চিম- দক্ষিণ সীমান্ত ঘেঁষে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। উত্তরে নওগাঁ জেলা এবং পূর্ব দিকে রয়েছে নাটোর জেলা। রাজশাহী জেলার মোট আয়তন ২৪০৭.০১ বর্গ কিলোমিটার।

রাজশাহী জেলার উপজেলাসমূহ

রাজশাহী শহরকে কেন্দ্র করে ১৭৭২ সালে জেলা গঠন করা হয়। ১৮৭৬ সালে গঠিত হয় রাজশাহী পৌরসভা । পরবর্তীতে রাজশাহী সিটি করপারেশন এ রূপান্তরিত হয়।

রাজশাহীর উপজেলা সমূহ-
১. গোদাগাড়ী
২. তানোর
৩. মোহনপুর
৪. বাগমারা
৫. দুর্গাপুর
৬. বাঘা
৭. চারঘাট
৮. পবা
৯. পুঠিয়া

রাজশাহীকে শিক্ষা নগরী বলা হয় কেন

রাজশাহী শহরে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যাদের অনেকগুলোর খ্যাতি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে ।প্রতি বছর বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষায় দেশের অন্যান্য জেলার থেকে রাজশাহীতে পাশের হার বেশি হয়ে থাকে। তাই প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন জেলার অনেক শিক্ষার্থী  রাজশাহীতে পড়াশোনার জন্য আসে। এ জন্য রাজশাহী কে শিক্ষা নগরী বলা হয়।

রাজশাহীর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ইত্যাদি।

রাজশাহীর বিখ্যাত কয়েকটি খাবার

বাংলাদেশের এই সুন্দরতম শিক্ষা নগরীতে আছে বেশ কিছু মজাদার খাবার। পদ্মা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করার সাথে সেইসব মজারদার খাবার খাওয়ার আনন্দই অন্য রকম।

কালাই রুটি: রাজশাহীর বিখ্যাত খাবার গুলোর মধ্যে কালাই রুটি একটি। মূলত এটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর বিখ্যাত খাবার হলেও বর্তমানে রাজশাহীতেও বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার কালাই রুটি। এই খাবারটি মাষ কলাই ও আতপ চালের আটা বা ময়দা, লবণ এবং পানি দিয়ে তৈরি করা হয়। কালাই রুটির সাথে বেগুন ভর্তা, মরিচ ভর্তা, মাংস ইত্যাদি দিয়ে পরিবেশন করা হয়। বর্তমানে রাজশাহী নগরীতে প্রায় ১০০ টির বেশি দোকান রয়েছে । কালাই রুটির দাম সাধারণত ২৫-৩০ টাকার মধ্যে হয়।
জিলাপিঃ রাজশাহী শহরের বাটার মোড়ের জিলাপির মতো অন্য কোনো জায়গায় এই রকম জিলাপি পাওয়া যায় না। বাটার মোড়ে প্রায় ৬৬ বছর ধরে একটি দোকানে চলে আসছে এই জিলাপির আয়োজন। প্রতি দিন প্রায় অনেক মানুষ জিলাপি খেতে এসে ভিড় করে সেই দোকানে।
কালা ভুনাঃ রাজশাহীর আরেক বিখ্যাত খাবার হলো গরুর মাংসের কালা ভুনা। রাজশাহীর এই বিখ্যাত কালা ভুনা অন্য রকম স্বাদের। শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই কালা ভুনা বিক্রি হয়। তবে তাদের মধ্যে কাটাখালি, নওহাটা, সিটির হাটের কালা ভুনা বেশ উল্লেখযোগ্য।

রাজশাহী শহরের দর্শনীয় স্থান সমূহ

রাজশাহী জেলার আকর্ষণীয় স্থান গুলোর মধ্যে সর্ব প্রথম চোখে পড়ে পদ্মার পাড়। পদ্মা নদীর পাড় ঘেঁসে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ঘুরার যায়গা। যাদের মধ্যে রয়েছে পদ্মা গার্ডেন, বিজিবি, আই বাঁধ, টি বাঁধ, মুক্ত মঞ্চ ইত্যাদি। যেকোনো ঋতু তেই পদ্মা নদীর সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করা যায়। তবে শরতের বিকেলের পদ্মার পাড় সবারই খুব প্রিয়।

এরপরে আসে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর। এটি বাংলাদেশের একমাত্র ও প্রথম বরেন্দ্র জাদুঘর। প্রত্নতত্ত সংগ্রহের দিক দিয়ে এটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি অন্যতম সংগ্রহশালা। এই জাদুঘরটি রাজশাহী জেলায় হেতেম খাঁ তে অবস্থিত।
এছাড়া রয়েছে রাজশাহী চিড়িয়াখানা, শিশু পার্ক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, পুঠিয়া রাজবাড়ি, বাঘা মসজিদ আরও অনেক যায়গা। বর্তমানে রাজশাহী শহরকে আরও সুন্দর করে তুলেছে সড়কের আলোকসজ্জা বাতি। রাতের বেলা এসব বাতির আলো তে রাস্তা গুলো আরও অনেক সুন্দর দেখায়।

শেষ কথা

বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন মায়াবী এবং নিরিবিলি সহ রাজশাহী। বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন শহর রাজশাহী । দিন দিন আরো সৌন্দর্য বেড়েই চলেছে। এই শহরের দেশের অন্যান্য জেলা থেকে ভ্রমণের জন্য অনেক মানুষ এই শহরে আসে। মনোরম পরিবেশ মুগ্ধ করে সবাইকে।
Garlic benefits: জেনে নিন রসুনের ১০টি উপকারিতা ও রসুন খাওয়ার নিয়ম

অধিক পুষ্টিগুনে ভরপুর রসুন। রসুন প্রায় পাঁচ হাজার বছর ধরে মসলা ও খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমান তথ্য অনুযায়ী রসুনকে স্বাস্থ্য রক্ষা ও বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। রসুন আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান।

রসুনের গুনাগুন জানলে চমকে যাবেন আপনিও। সুগার, হৃদরোগ, হাই ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ করে রসুন। এছাড়াও প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে থাকে, আপনার যৌন শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এরকম অনেক উপকারিতা আছে রসুনের। চলুন জেনে নেওয়া যাক রসুনের উপকারিতা সম্পর্কে।

ভূমিকা

রসুনের বৈজ্ঞানিক নাম Allium sativum রসুন সাধারণত দুই রকমের হয়ে থাকে। এক কোষ বিশিষ্ট রসুন এবং বহু কোষ বিশিষ্ট রসুন। সাধারণত এক কোষ বিশিষ্ট রসুনের দাম বেশি এবং বহুকোষ বিশিষ্ট রসুনের নাম সহজলভ্য এবং এই রসুন ধাঁঝালো হয়ে থাকে। আপনার শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ম্যাজিক এর মত কাজ করে এক কোয়া রসুন। তাই আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

রসুনের ১০টি উপকারিতা

রসুনের এত উপকারিতা যে রসুনকে মরণের অমৃত বলা হয়। আয়ুর্বেদে রসুনকে ঔষধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রশংসা সাধারণত মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হলেও প্রাচীনকাল থেকে ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। বিভিন্ন রোগের প্রতিকার হিসেবে রসুন খুবই কার্যকরী। রসুনে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

১। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে

সুগার হলো একগুচ্ছ রোগের সমাহার। এই রোগের ফলে রক্তে গ্লকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। ইন্সুলিনের অসামরনের ফলে মূলত এই রোগ হয়ে থাকে। বিজ্ঞানীদের মতে, রসুনের মধ্যে এলেসিন নামক এক প্রকার কম্পাউন্ড থাকে যা ইনসুলিন এর ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে সুগার কমে খুব সহজেই। এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই থেকে তিন কোয়া রসুন খেতে হবে। চিবিয়ে খেতে না পারলে কুচি কুচি করে গিলে খেতে পারেন।

২। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে

যদি আপনার LDL (Low Density Lipoprotein) কোলেস্টরেল বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে সারা জীবনের জন্য কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে প্রতিদিন ২ কোয়া করে রসুন খালি পেটে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। মাঝে মাঝে দুই একদিন বাদ গেলেও ক্ষতি নেই। তবে নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করলে ভালো হয়।

রসুন LDL ও টাই গ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে এবং HDL বাড়াতে সাহায্য করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, রসুন লিভারে কোলেস্টেরলের সংখ্যা কমিয়ে দেয় এবং কোলেস্টরেলকে শরীর থেকে বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করে দেয়।

৩। হৃদরোগের সম্ভাবনা কমায়

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মত অনুযায়ী বিশ্বের মধ্যে সর্ববৃহৎ মৃত্যুর কারণ হলো হৃদরোগ। ২০১১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী 17.3M মানুষ মারা যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। যার 80% উন্নয়নশীল দেশের মানুষ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে 23.6M মানুষ প্রান হারাতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছে এই হৃদরোগের কারণে।
তাই আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন খেতে পারেন।
কারণ রসুনের মধ্যে সালফার ও বায়ো সালফার মনোএকটিভ মিশ্রণ থাকে। যা আমাদের হৃদরোগকে প্রতিরোধ করতে পারে। বৈজ্ঞানিক তথ্য অনুযায়ী রসুন অনিয়ন্ত্রিত স্পন্দন, মায়োকার্ডিয়াম এর দুর্বলতা, এরোপ্লোরসিস ও অন্যান্য প্রভৃতি রোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। এছাড়া কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় রসুন।

৪। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে

সারা বিশ্বে 13.5% মানুষ মারা যায় উচ্চ রক্তচাপের কারণে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের তথ্য অনুযায়ী, রসুনকে একটি উত্তম হাই ব্লাড প্রেসারের ঔষধ হিসেবে ধরা হয়েছে। তবে রোগটি প্রবল আকারে দেখা দেওয়ার পর রসুন খাওয়া আরম্ভ করলে পারদের মাত্রার মতো তরতর করে নিচে নেমে যাবে সেই আশা করবেন না। হাই ব্লাড প্রেসার এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসার জন্য অন্য ওষুধ চলবে সেইসঙ্গে রসুন খেতে হবে। সকালে খালি পেটে দুই থেকে তিন কোয়া রসুন খেতে পারেন।

৫। প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে

গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে রসুন খেলে তা শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। তাই আপনার দেহের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া কে দূর করতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া রসুন খেতে পারেন। যা ম্যাজিকের মতো আপনার দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং আপনার শরীর থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বের করে দিবে।

৬। যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে

পুরুষের যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো কাজ করে। যৌন ইচ্ছা ফিরিয়ে আনার জন্য এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী। কোন রোগের কারণে বা কোন দুর্ঘটনার কারণে কিংবা আপনার বয়সের জন্য আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে এটি আপনাকে তা ফিরে পেতে সাহায্য করে। রসুন আপনার দেহের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।

আমাদের বাহ্যিক খাদ্য অভ্যাস ধূমপান, অ্যালকোহল, অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন ও শারীরিক পরিশ্রম এর অভাবে দিন দিন হেলদি শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে হেলদি শুক্রাণু তৈরিতে রসুনের উপকারিতা ব্যাপক। তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া রসুন খেলে যৌন অক্ষমতা দূর হবে এবং আপনার যৌন শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

৭। বাত নিয়ন্ত্রণ করে

বাত রোগের জন্য রসুন খুবই কার্যকরী। যদি আপনার শরীরের গিঁটে গিটে ব্যথা, সকালের দিকে হাত পায়ের আঙ্গুলে অবস হওয়ার অভ্যাস থাকে সে ক্ষেত্রে অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন। রসুন কুচি কুচি করে কেটে রেখে ১০-১৫ মিনিট পর খেতে পারেন। এছাড়া গিঁটে ব্যথা ও যন্ত্রণা উপশমের জন্য রসুনের তেল মালিশ করতে পারেন।

আরো পড়ুন: ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের তালিকা

৮। দাঁতের যন্ত্রণা কমায়

দাঁতের যন্ত্রণা কমাতে রসুন বেশ কার্যকরী একটি উপকরণ। রসুন থেঁতো করে দাঁতের গোড়ায় লাগিয়ে হালকা ভাবে মাসাজ করলে উপকার পাওয়া যায়। আর হঠাৎ করে যদি দাঁতের যন্ত্রণা দেখা দেয় বা মাড়ি ফুলে যায় তাহলে এক কোয়া রসুন চিবিয়ে তাদের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এর পর থেকে যন্ত্রণা ও ব্যথা কমতে শুরু করবে। এছাড়া পাইরিয়া সারাতে রসুন ভালো কাজ করে।

৯। যক্ষা নিরাময় করে

যক্ষা রোগের অত্যাধুনিক ওষুধ বারবার ব্যবহার করা হচ্ছে বারবার ভালো হচ্ছে কিন্তু যক্ষা নিরাময় হচ্ছে না। আবার কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় ঔষধ আর কাজে দিচ্ছে না। রোগীর অবস্থা ক্রমশ জটিল হয়ে ওঠে। এরকম ক্ষেত্রে আধুনিক চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে রসুন খাওয়া যেতে পারে। এরপর রোগ সারলে আবার রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। এক্ষেত্রে রসুনের রস কয়েক ফোটা পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে তিন থেকে চারবার খাওয়ানো যেতে পারে।

১০। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

বর্তমানে বহু মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। পুরুষ ও মহিলাদের ক্যান্সার দিন দিন ভয়ংকর আকার ধারণ করছে। সে ক্ষেত্রে নানাভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, রসুন ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে এবং নিয়মিত রসুন খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। রসুন মুখ, পরিপাকতন্ত্র, লিভার, ফুসফুস, কোলন ও জরায়ু ইত্যাদি ক্যান্সারের খুব ভালো কাজ করে। কারণ রসুন ক্যান্সার কোষের বিভাজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। রসুনে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের জন্য ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেলস গুলোকে ধ্বংস করে দেয়।

আরো পড়ুনঃ জন্ডিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার।

রসুন খাওয়ার নিয়ম

রসুন কাটার পরে খোলা জায়গায় রেখে ১৫ মিনিট পরে কাঁচা খেতে পারেন অথবা তরকারিতে ব্যবহার করে খেতে পারেন। এছাড়া রসুন কুচি কুচি করে খাওয়া যেতে পারে। কারণ রসুন কেটে রাখার পরে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে রসুনের মধ্যে থাকা জালা সৃষ্টিকারী সাল্পনিক এসিড দ্রুত ভেঙে গিয়ে এলিসিনে পরিণত হয়। তাই রসুন কাটার পরে খোলা জায়গায় রেখে ১০-১৫ মিনিট পরে ব্যবহার করতে পারেন। এতে রসুনের উপকার খুব দ্রুত পাওয়া যায় এবং শরীরের জন্য ভালো।

আরো পড়ুনঃ ওজন কমানোর উপায়।

রসুনের অপকারিতা

রসুন আমাদের শরীরের নানা রকম সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে। তবে অতিরিক্ত রসুন খাওয়া কখনোই ভালো নয়। এতে আপনার সমস্যার সমাধান না হয়ে ক্ষতি হতে পারে। রসুন এ থাকা সালফার আমাদের পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে, যার ফলে ডায়রিয়া হতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার ফলে আমাদের রক্তের ঘনত্ব কমে যায়, মুখের দুর্গন্ধ হয় এবং শরীরের ঘাম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • খালি পেটে রসুন খাওয়া যাবেনা
  • গর্ভবতী মহিলারা রসুন খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন
  • শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েরা রসুন খাবেন না
  • নিম্ন রক্তচাপ হলে রসুন খাওয়া যাবে না

শেষ কথা

রসুন এ রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। রসুনের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এমনই সব তথ্য সমৃদ্ধ আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আর আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে লিখুন। প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
কিভাবে আপনার ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইল ভেরিফাই করবেন?
ফেসবুক আইডি আমাদের বর্তমানে ডিজিটাল যুগের একটি পরিচয়। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানের পেজের পাশে নীল টিক চিহ্ন যুক্ত ব্যাজ লক্ষ্য করা যায়। এই নীল টিক চিহ্নযুক্ত ব্যাজের মর্ম অনেকেই জানেন। প্রায় সবাই চায় এই ব্যাজ নিজের প্রোফাইল বা পেজের পাশে বসাতে। এর জন্য আপনাকে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে ফেসবুক ভেরিফাই করতে হবে।
ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইল ভেরিফাই

ফেসবুক একাউন্ট ভেরিফাই করা একটি কঠিন প্রক্রিয়া হতে পারে। তবে আপনাকে এর জন্য হতাশ হওয়া যাবে না। কিভাবে একটি ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইল ভেরিফাই করতে হয় সেই সম্পর্কে এই টিপসগুলি জেনে রাখা আপনার জন্য খুবই প্রয়োজন।

ভূমিকা

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ফেসবুক হয়ে উঠেছে একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। ২০০৯ সালে টুইটার দিয়ে সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করা শুরু হয়েছিল উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করার উপায় হিসেবে। Facebook ২০১৩ সালে অনুসরণ করেছিল তারপর ২০১৪ সালে ইনস্টাগ্রাম চালু করা হয়েছিল এই ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া। ফেসবুক সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তার ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সহজ করে তুলেছে।

ফেসবুক ভেরিফিকেশন কি

ফেসবুক ভেরিফিকেশন হলো একটি অ্যাকাউন্ট বা পেজ যাচাই করার প্রক্রিয়া। যা অন্য ব্যবহারকারীদের কে দেখায় যে এটি প্ল্যাটফর্মে আপনার উপস্থিতির প্রতিনিধিত্ব করে। মিথ্যা বা ফেক অ্যাকাউন্ট আর মূল অ্যাকাউন্ট এর মধ্যে পার্থক্য দেখানোর জন্য এই প্রক্রিয়াটি চালু হয়েছে। আপনার প্রোফাইল বা পেজের পাশে নীল টিক চিহ্নযুক্ত ব্যাজ করাই হলো ফেসবুক ভেরিফিকেশন। আপনার একাউন্টের সত্যতা যাচাই করার জন্যই এই চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।

ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইল ভেরিফাই করা কেন প্রয়োজন

সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার একাউন্টের বিশেষজ্ঞতা প্রতিষ্ঠার জন্য ফেসবুক ভেরিফাই করা একটি দুর্দান্ত উপায়। এই প্লাটফর্মে বড় ব্র্যান্ড এবং স্থানীয় ব্যবসা উভয় যাচাই করা যেতে পারে। আপনার ব্যক্তিত্ব বা প্রতিষ্ঠানের নাম আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ডস ফলোয়ার ও দর্শকদের জানাতে সহজ করে দেয়। এটি গ্রাহকদের জন্য আপনার ব্যবসা খুঁজে পাওয়া সহজ করে তোলে।

বর্তমানে ফেসবুকে প্রতারকদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফেসবুক একাউন্ট খোলার জন্য ব্যক্তিত্ব বা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় পত্র উল্লেখ করার তেমন কোনো প্রয়োজন নাই বলে যে কেউ অন্যের নামে ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইল খুলে মানুষদের প্রতারিত করছে। তাই আপনার ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইল নিরাপদ ও সুরক্ষায় রাখতে ফেসবুক ভেরিফাই করা প্রয়োজন।

ফেসবুক প্রোফাইল ভেরিফাই করার নিয়ম

বর্তমানে অনেকেই সচেতন হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে। প্রায় সবাই চাই নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইল সুরক্ষায় রাখতে। এর জন্য আপনাকে সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি মেনে চলে ফেসবুক প্রোফাইল ভেরিফাই করতে হবে। অনেকেই মনে করেন এই কাজটি করা খুব কঠিন এবং অনেক ঝামেলাই পড়তে হয়। কিন্তু বর্তমানে ফেসবুক ভেরিফাই করা খুব সহজ করে দিয়েছেন।

  • প্রথমে আপনার মোবাইল/কম্পিউটার/ল্যাপটপ থেকে Facebook অ্যাপ install করতে হবে।
  • ফেসবুক অ্যাপসে প্রবেশ করে আপনার ব্যক্তিগত প্রোফাইল লগইন করতে হবে।
  • লগইন করার পর মেনু অপশনে গিয়ে setting & privacy তে settings অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর একটি পেজ আসবে সেখানে account setting এ ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর personal information অপশনে ক্লিক করতে হবে
  • নিচের দিকে identity confirmation এ ক্লিক করে আপনার নিজের দেশ select করতে হবে।
  • এরপর personalized id তে ক্লিক করতে হবে choose how to confirm your id নামে।
  • সেখানে তিনটি অপশন আসবে। যে অপশনে আপনি আপনার আইডি ডকুমেন্ট সাবমিট করতে চান সেই অপশনটি সিলেক্ট করে সাবমিট করতে হবে।
  • এরপর ফিনিশ বাটনে ক্লিক করলে আপনার কাজ শেষ।

আপনি যদি আপনার সব ডকুমেন্ট আসল দিয়ে থাকেন তাহলে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আপনার প্রোফাইল ভেরিফাই হয়ে যাবে। এই যুগে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে এবং নিজেকে সুরক্ষায় রাখতে প্রোফাইল ভেরিফাই করে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ফেসবুক পেজ ভেরিফাই করার নিয়ম

ফেসবুক পেজ ভেরিফাই করা সম্পূর্ণ ফেসবুক কর্তৃপক্ষের উপরে নির্ভর করে। এটি ভেরিফাই করা একটি ফর্ম পূরণ করার মতোই সহজ। কোন ঝামেলা ছাড়াই খুব সহজে কিভাবে আপনার ফেসবুক পেজ ভেরিফাই করবেন তার নিয়ম নিচে দেওয়া হলোঃ

  • আপনাকে ফেসবুক অ্যাপসে আপনার Facebook অ্যাকাউন্ট লগইন করতে হবে।
  • ফেসবুক ওপেন করে ভেরিফিকেশনের জন্য একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে।
  • এরপর আপনার পেজের সব তথ্য সঠিক ভাবে দেওয়া আছে কিনা পরীক্ষা করুন।
  • page to verify অপশনে ক্লিক করে যে পেজটি ভেরিফাই করতে চান সেই পেজের লিংক দিতে হবে।
  • পেজের ক্যাটাগরি এবং নিজের দেশ সিলেক্ট করতে হবে।
  • আপনার সত্যতা প্রমাণের জন্য কিছু ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। অবশ্যই এই তথ্যগুলো সঠিক হতে হবে। যেমন জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স।
  • choose file সিলেক্ট করে ডকুমেন্টগুলো আপলোড করতে হবে।
  • এরপর আপনার অফিসিয়াল পেজের লিংক সাবমিট করতে হবে।
  • Additional information বক্সে কেন আপনার পেজটি ভেরিফাই করতে চান তা উল্লেখ করতে হবে।
  • এবার send বাটনে ক্লিক করে সাবমিট করতে হবে।
আপনি সব তথ্যগুলো সঠিক দিয়ে থাকলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আপনার পেজ ভেরিফাই হয়ে যাবে। আপনার দেওয়া সব তথ্য যাচাই করে ফেসবুক আপনার অ্যাকাউন্ট বা পেজের পাশে নীল টিক চিহ্ন যুক্ত করবে।

শেষ কথা

ফেসবুক নীতি অনুযায়ী কেবল সত্যতা প্রমাণিত ও বৈধ একাউন্ট এর ক্ষেত্রে ভেরিফাই প্রোফাইল বা পেজের পাশে নীল টিক চিহ্নযুক্ত ব্যাজ দেওয়া হয়। এর জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে সঠিক নিয়মে আবেদন করতে হয়। উপরের যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে ফেসবুক ভেরিফাই করলে আপনার প্রোফাইল বা পেজের পাশে নীল টিক চিহ্নযুক্ত ব্যাজ পাওয়া যাবে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি করে উপকৃত হয়েছেন।
বাংলাদেশের মন্ত্রী হলে যে সকল সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়
টানা চতুর্থ মেয়াদের ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত হয় বাংলাদেশের ৩৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা। ২৫ জন মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী নিয়ে গঠিত এই মন্ত্রীসভা। চলুন জেনে নেওয়া যাক, বাংলাদেশের মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর বেতন ভাতা সহ অন্যান্য কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন তারা।

বাংলাদেশের মন্ত্রীদের সুযোগ সুবিধা

একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী কে কি সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন তা জানার আগ্রহ অনেকেরই। গাড়ি-বাড়ি এবং চিকিৎসা খরচ সহ সরকারি সেবার বাইরেও নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন তারা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বিভাগ থেকে এ সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়।

মন্ত্রীর বেতন ভাতা

একজন মন্ত্রী মাসিক এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা বেতন পান। ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা এবং চিপ হুইপরাও সমান বেতন পান। একজন মন্ত্রী –
  • দেড় হাজার টাকা দৈনিক ভাতা
  • সাড়ে ৭ হাজার টাকা নিয়ামক ভাতা
  • সাড়ে ৭ লাখ টাকা স্বেচ্ছাধীন তহবিল
  • মোবাইল ফোন কেনার জন্য ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পান
  • বিনা ভাড়ায় একটি সরকারি বাসভবন
  • সরকারি খরচে একটি গাড়ি
  • সরকারি খরচে রেল ভ্রমণ ও বিদেশ ভ্রমণ
শুধু তাই নয় বাইশ ভবনের গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, টেলিফোন সহ যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় বহন করে সরকার। আসবাবপত্র ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ থাকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত। কোন মন্ত্রী যদি সরকারি বাসায় না থাকেন তাহলে ৮০ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া পেয়ে থাকেন। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও টেলিফোন সহ সব ধরনের সেবা খাতের বিলও পেয়ে থাকেন।
শুধু নিজের কিংবা পরিবারের জন্য নয়, এলাকার মানুষের জন্য নানা ধরনের বরাদ্দ পেয়ে থাকেন মন্ত্রীরা। মসজিদ, মন্দিরের উন্নয়ন সহ এলাকার দাতব্য কাজের জন্য বছরে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয় তাদের। যার মধ্যে একজন ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা দিতে পারেন। নির্বাচন এলাকায় সাক্ষাৎ প্রার্থীদের আপ্যায়নের জন্য মাসে ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ পান মন্ত্রীরা।
ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে উপসচিব পদমর্যাদার একজন একান্ত সচিব, সরকারি একান্ত সচিব এবং সরকারি কর্মচারীদের বাইরে আরেকজন সহকারী একান্ত সচিব পান মন্ত্রীরা। এছাড়াও দুজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, একজন জমাদার, একজন আর্দালি, দুজন অফিস সহায়ক এবং একজন পাঠকের সুবিধা পান মন্ত্রীরা।

প্রতিমন্ত্রীর বেতন ভাতা

একজন প্রতিমন্ত্রী প্রতি মাসে বেতন পান ৯২ হাজার টাকা। এছাড়া –

  • দৈনিক দেড় হাজার টাকা ভাতা
  • সাড়ে সাত হাজার টাকা নিয়ামক ভাতা
  • সাড়ে ৭ লাখ টাকা স্বেচ্ছাধীন তহবিল
  • মোবাইল ফোন কেনার জন্য ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পান
  • বিনা ভাড়ায় একটি বাসভবন পান
প্রতিমন্ত্রীরা ইউটিলিটি বিল সরকার বহন করে আসবাবপত্র ক্রয়ের জন্য সর্বোচ্চ তারা চার লাখ টাকা বরাদ্দ পান। সরকারি বাসায় না থাকলে বাড়িভাড়া পান ৭০ হাজার টাকা। সাথে যুক্ত হয় ইউটিলিটি বিলও। এলাকার মানুষের দাতব্য কাজের জন্য বছরে ৭ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এই টাকার মধ্যে একজন ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ৩৫০০ টাকা দিতে পারেন।
নির্বাচনী এলাকার সাক্ষাৎ প্রার্থীদের আপ্যায়নের জন্য মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা পেয়ে থাকেন প্রতিমন্ত্রীরা। বিমান ভ্রমণের জন্য ৮ লাখ টাকার বিনা সুবিধা পেয়ে থাকেন তারা এবং একটি করে গাড়ি পান প্রতিমন্ত্রীরা। এছাড়া পরিবহন এবং ব্যক্তিগত সরকারের ক্ষেত্রে মন্ত্রীদের মতো একই সুবিধা পেয়ে থাকে প্রতিমন্ত্রীরা।

উপমন্ত্রীর বেতন ভাতা

উপমন্ত্রীদের মাসিক বেতন ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া –

  • দৈনিক দেড় হাজার টাকা ভাতা
  • ৫০০০ টাকা নিয়ামক ভাতা
  • সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা স্বেচ্ছাধীন তহবিল
  • মোবাইল ফোন কেনার জন্য ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পান
উপমন্ত্রীকেও সরকারি বাসভবনের ভাড়া কিংবা ইউটিলিটি বিল দিতে হয় না। তাদের বাড়িভাড়া ও আসবাব খরচ প্রতিমন্ত্রীদের সমপরিমাণ। এলাকার মানুষের দাতব্য কাজে একজন উপমন্ত্রীকে বছরে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। উপমন্ত্রী চাইলে এই টাকার মধ্যে একজন ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা দিতে পারেন। নির্বাচনী এলাকার মানুষদের আপ্যায়নের জন্য পাঁচ হাজার টাকা ভাতা পেয়ে থাকেন তারা।
উপমন্ত্রীরা সহকারী সচিব পদমর্যাদার একজন একান্ত সচিব এবং ক্যাডারের বাইরে থেকে আরেকজন সহকারী একান্ত সচিব পান। এছাড়া একজন ব্যক্তিগত সহকারী, একজন জমাদার ও একজন আর্দালি, একজন অফিস সহায়ক ও একজন পাঠক বা পিয়নের সুবিধা পান তারা। আইন অনুযায়ী একজন মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী উপমন্ত্রীর আয় এর ওপরে কোন কর নেই। এছাড়া নিজ বাড়ি বা ভাড়া বাড়িতে বসবাস করলে সেটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরের তিন মাসের বাড়ি ভাড়ার সমপরিমাণ টাকা পাবেন তারা।

সংসদ সদস্যদের বেতন ভাতা

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী একজন সংসদ সদস্যের বেতন মাসে ৫৫ হাজার টাকা। এছাড়া প্রতি মাসে নির্বাচনী এলাকায় যাওয়া আসার জন্য সাড়ে বারো হাজার টাকা ভাতা, ৫০০০ টাকার সম্মানী বা আপ্যায়ন ভাতা, ৭০ হাজার টাকা যাতায়াত খরচ এবং ১৫ হাজার টাকা অফিস খরচ পান তারা। সব টাকা করমুক্ত থাকে। সংসদ সদস্য ও তার পরিবারের চিকিৎসার খরচ প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার সমান। এছাড়াও সরকারের কাছ থেকে প্লট ও  গাড়ি আমদানি সুবিধা পেয়ে থাকেন তারা।

প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ সুবিধা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন মাসে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এছাড়া তিনি মাসিক বাড়ি ভাড়া পান ১ লাখ টাকা। দৈনিক ভাতা ৩০০০ টাকা বরাদ্দ করে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী কে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা কর্মচারী সুবিধা ও প্রদান করে থাকেন রাষ্ট্র সভাপতি।